কীভাবে আমরা প্রতিদিন বিষ খাচ্ছি?

প্রথমেই

ঘুম থেকে উঠে কোলগেট পেস্ট নিলাম-তার মধ্যে ক্যান্সারের উপাদান!

তারপর নাস্তায় পরোটা খাইলাম- তার মধ্যে অ্যামোনিয়ার তৈরি সল্টু মিশানো!

তারপর কলা খাইলাম – কার্বাইড দিয়ে পাকানো!

তারপর কফি নিলাম – এতে তেঁতুলের বিচির গুড়া মিশানো!

তারপর বাজারে গেলাম টাটকা শাক সবজি কিনলাম-

কপার সালফেট ছিটায়ে সতেজ করা, হাইব্রিড সার দিয়ে ফলানো!

মসলা আর হলুদের গুড়া নিলাম – লেড এবং ক্রোমাইট ক্যামিকেল মিশানো!

গরমের দিন বাসায় এসে তরমুজ খাইলাম – পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট দিয়ে লাল করা!

আম এবং লিচু বাচ্চাকে দিলাম খেতে – কার্বাইড দিয়ে পাকানো এবং ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষিত!

দুপুরে ভাত খাবো – ইউরিয়া দিয়ে সাদা করা!

মুরগী নিলাম প্লেটে- ক্রমাগত এন্টিবায়োটিক দিয়ে বড় করা!

সয়াবিন তেলে রান্না সব – ভিতরে অর্ধেক পাম অয়েল মেশানো!

খাওয়ার পর মিষ্টি জিলাপি নিলাম – পোড়া মবিল দিয়ে মচমচে করা!

রোজা থাকলে সন্ধ্যায় রুহ আফযা নিলাম – ক্যামিকেল আর রং ছাড়া কোন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়নি পরীক্ষায়!

খেজুর খাইলাম – বছরের পর বছর স্টোরেজে ফরমালিন দিয়ে রেখেছিলো!

সরিষার তেল দিয়ে মুড়ি মাখানো খাইলাম- মুড়ি ইউরিয়া দিয়ে ফুলানো আর সাদা করা এবং সরিষার তেলে ঝাঁঝালো ক্যামিকাল মিশানো!

রাতে আবার একই বিষ ডবল খাইলাম!

ঘুমানোর আগেও বাদ যাবেনা। গরম দুধ আর হরলিক্স খাইলাম- গাভীর পিটুইটারি গ্রন্থিতে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর অতিরিক্ত দুধ দোওয়ানো হয়, এরপর ইউরিয়া মেরে সাদা করা হয়।আর হরলিক্সে পরীক্ষা করে ক্যামিকাল ছাড়া কোন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়নি!

এত ভেজাল খেয়ে দু একটা ঔষধ না খেলে তো শরীর টিকবেনা। ৭০ ভাগ ঔষধ কোম্পানি দেশে মান সম্মত ঔষধ তৈরি করেনা। এইসব খাওয়ার পর ভাবতেছি, কেমনে বেঁচে আছি!..মানুষের ঈমান তো নাই নাই, দুর্নীতির ভিতরেও এরা দুর্নীতি করে। আসলে আমরা কেউই বেঁচে নাই। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গই আসলে বিষ মাংস নয়।

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Please share for others

Facebook
Twitter
LinkedIn

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recently Published

error: